অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন। আবেদন ফি কত?
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন – বর্তমান সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আমার জানামতে এখনো অনেক মানুষ জানে না যে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। তো আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার এর জন্য আপনি কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। আপনারা অনেকেই জেনে খুশি হবেন যে আপনারা যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে। আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে মিটারের আবেদন করেন তাহলে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে আর আপনি যদি ঘরে বসেই নিজে নিজে মেয়েটার আবেদন করতে পারেন তাহলে খরচ অনেকটা কমে যাবে যা অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়।

বর্তমান যুগ বলতে গেলে বিদ্যুতের একটা যুগ। এই বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। বিদ্যুৎহীন একটি দিন বর্তমান সময়ে সবার জন্য চিন্তা করা দুঃসাধ্যকর একটা বিষয়। তাই বলা যায় আমাদের প্রাথমিক জীবনে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিহার্য। আপনারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি ঘরে বসেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন এ সম্পর্কে।
এর পাশাপাশি এই পোস্টটা আমি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন ফি কত করে নেয়। আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাছাড়া কিভাবে অনলাইনে মিটার আবেদন করতে হয় আপনার কোথায় কত টাকা জমা দিতে হয় এই সমস্ত বিষয়ে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। তাই চলুন এখন শুরু করা যাক অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
আমাদের জীবনে বিদ্যুৎ কিভাবে যে জোরে রয়েছে তা আমরা একসময় লোডশেডিং এর সময় বুঝতে পারি। যখন লোডশেডিং হয় তখন আমাদের জীবনে নেমে আসে বিপর্যয় নেমে আসে অসহনীয় একটা সময়। এই বিদ্যুৎ আমাদের জীবনকে যেমন সুন্দর করেছে তেমনি সহজ করে তুলেছে। এই বিদ্যুতের কারণে আমাদের জীবন যাপন করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে আগের থেকে।
আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে জেনে রাখুন এই কাজটি অনেক সহজ। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম পল্লী বিদ্যুৎ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। কিভাবে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে হয় নিচের অংশে আমি অনেক সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তাই কিভাবে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করবেন এ সম্পর্কে জানার জন্য নিচের অংশটুকু পড়েন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
কিভাবে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করবেন এই সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে নিচে দেওয়া হল।
- আপনাকে প্রথমে এই ওয়েবসাইটে www.rebpbs.com প্রবেশ করতে হবে।
- এরপর সতর্কতার সাথে ফর্মএ যে তথ্যগুলো চেয়েছে সেগুলো পূরণ করুন।
- অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেগুলো লাল রঙের অথবা স্টার চিহ্ন দেওয়া সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে এগুলো ছাড়া আবেদন সম্পন্ন হবে না।
- এরপর আপনার কাজ হল আবেদনপত্র সংরক্ষণ করে বাড়ির সকল কারেন্টের কাজ কমপ্লিট করুন।
- আপনি যে জায়গায় ওয়ারিং করতে চান সেই জায়গায় একটি পিন নাম্বার ও একটি ট্রেকিং নাম্বার দিয়ে তারপরে সাবমিট করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনাকে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আবেদনকারীর ছবি (300*300 পিক্সেল) সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোবাইট আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (600*475 পিক্সেল) সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোবাইট তারপর 700 কিলো বাইরের স্ক্যান করা জমির উত্তরাধিকার সনদ এগুলো আপনাকে নির্দিষ্ট সাইজে ক্রপ করে জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন এই কাগজপত্রগুলো ছাড়া আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার অনলাইন আবেদন করুন
আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার ঠিকানা চাইবে সেখানে আপনার বাড়ির ঠিকানা থানা জেলা উপজেলা ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
আপনার সবকিছু যদি ভালোভাবে করা হয়ে থাকে তাহলে পূরণ করার পর দেখবেন ওয়ারির নিশ্চিতকরণের জন্য এক
জায়গা আছে। মানে এক ফাঁকা অংশ আছে ওয়েবসাইটে সেখানে আপনার বাড়ির কারেন্টের সব কাজ ঠিক আছে কিনা
তা ভালোভাবে উল্লেখ করতে হবে এরপর ওয়ারিং এর পিন নাম্বার রোড ট্রেকিং নাম্বার ভালোভাবে সাবমিট করবেন এরপর
আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে। আমিও উপরে নিয়ম কানুন গুলো ভালোভাবে উল্লেখ করেছি সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত
আপনি যে অনলাইনে আবেদন পত্র পূরণ করেছেন সে ফোনটা অবশ্যই প্রিন্ট আউট করে রাখতে হবে প্রিন্ট আউট
করার পর আপনাকে যে সকল কাগজপত্র ও ছবি দেওয়ার কথা বলেছে সেগুলো সব ভালোভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে
জমা দিতে হবে। কাগজপত্র সবকিছু ভালোভাবে জমা দেওয়ার পর আপনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন জমা
নেওয়ার সময় একটা ফি নেবে এই ফি-র পরিমাণ হলো ১১৫ টাকা। আর শেষে আপনি যে মিটার
পাবেন তার জন্য অবশ্যই ৪৫০ টাকা দিতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে ট্রেকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিবে সেটি পেমেন্ট স্লিপ
এর সাথে ডাউনলোড করে রাখবেন এবং যখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে তা জমা দিবেন তখনই আপনাকে সংযোগ প্রদান করা হবে।
নতুন বিদ্যুৎ মিটার
আপনি কিভাবে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করবেন তার নিয়ম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি
বাড়িতে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করে
সকল নিয়ম-কানুন ভালোভাবে মেনে সকল তথ্য পুরন করতে হবে। সকল তথ্য পূরণ করার পর আপনাকে সেটি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে হবে।
আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি পেমেন্ট স্লিপ দিবে সেটি ডাউনলোড করে জমা দিলেই আপনার বাড়িতে বিদ্যুৎ
সংযোগ দেওয়া হবে। এ সম্পর্কে যদি আপনি ভালোভাবে পড়তে চান তাহলে উপরের অংশে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করনীয়
আপনার নিজস্ব পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের যদি কোন প্রবলেম হয় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে তা
হলো নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানাতে হবে। তারপর আপনার মিটার যে নষ্ট হয়েছে এজন্য একটা আবেদন করতে
হবে। আপনি যদি আবেদনটি করেন তাহলে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে লোক এসে আপনার বিদ্যুৎ মিটারটি খুলে নিয়ে তারা নিয়ে যাবে।
এরপর তারা অতি দ্রুত অর্থাৎ দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে তারা সকল কাজ কমপ্লিট করে আপনাকে বিদ্যুৎ মিটার
দিয়ে দিবে। তাই আপনাকে একটা টিপস দিয়ে রাখি আপনার মিটার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অতি দ্রুত মিটার নষ্ট
হওয়ার একটা আবেদন করবেন। আপনি একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যত দ্রুত মিটার নষ্ট হওয়ার আবেদন
করবেন তত তাড়াতাড়ি একটি নতুন মিটার পাবেন এবং সংযোগ আবার আগের মত পাবেন।
আর আছেঃ
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি গার্মেন্টস শিল্প ২০২৩
বাইক নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন উক্তি
রাত নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা