বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাট বাবুরহাট
বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাট বাবুরহাট – আসসালামু আলাইকুম দর্শক। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি বাংলাদেশের
বৃহত্তম শারীর কাপড়ের হাট সম্পর্কে। বাবুরহাটই মূলত বাংলাদেশের বৃহত্তম শাড়ি কাপড়ের হাট । আজকের আর্টিকেলটিতে
আমরা বাবুরহাটে কি কি পাওয়া যায়, হাটি সপ্তাহে কি কি বারে খোলা থাকে এবং কি কি বারে বন্ধ থাকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত
আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী, আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।
অবস্থান
বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাট বাবুরহাট বাংলাদেশের অন্যতম সুপরিচিত একটি কাপড়ের বাজার বা হাট। এটি নরসিংদী জেলার সদর থানার শেখেরচরে অবস্থান করছে।
ঢাকা থেকে ৩৫ কিমি দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ হয়ে এই হাটে যেতে হয়। বাবুরহাটের পুরো নাম শেখেরচর
বাবুরহাট। তবে সচরাচর এটি বাবুরহাট নামে সকলের কাছে পরিচিত।ঢাকা থেকে শেখেরচর যাওয়ার পথে এর আগেই আর একটি হাট
দেখা যায়। এই হাটটি মাধবদির হাট বা মাধবদি বাবুরহাট নামে পরিচিত। মাধবদী বাবুরহাট নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় অবস্থান করছে।

বাবুরহাট তৈরির ইতিহাস
প্রচলিত কথা অনুসারে, আশু বাবু এ অঞ্চলের জমিদার প্রথমে তিরিশের দশকে মাধবদিতে হাট বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন, কিন্তু কোন
কারণে তার ভাই কালী বাবুর সঙ্গে তার ঝগড়া হলে কালী বাবু, প্রমথ বাবু ও গোপাল বাবু কর্তৃক শেখেরচরে বাবুরহাট প্রতিষ্ঠা করা
হয়েছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সদ্য তৈরি হওয়া বাবুরহাট বড় বাজার হিসেবে মাথা উঠিয়ে দাঁড়ায় এবং সেই থেকে এটিই বাবুরহাট নামে প্রসিদ্ধ হয়।
এ অঞ্চলটি অনেক আগে থেকেই তাঁত বস্ত্রের জন্য বিখ্যাত ছিল। তাঁতিরা তাদের তাতে সারা সপ্তাহে যে কাপড় তৈরি করত সেগুলি
হাটবারে এখানে নিয়ে আসত ও পাইকারদের কাছে বিক্রি করত। এমনি করে ধীরে ধীরে হাট মাথা তুলে দাঁড়াতে থাকে। পাইকাররা
Read Also
কাশফুল নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
২০২৪ সালেরও এইচএসসিও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
ভাওয়াল রাজবাড়ি এবং এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
একাকিত্ব নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
লোভ নিয়ে স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা
ফুল নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
এক সময় কেবল নদীপথেই এই হাটে কাপড় কিনতে আসত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মোমিন নামক কোম্পানি এই হাটে যাওয়ার
রাস্তা তৈরি করে বাস সার্ভিস চালু করে। অবশ্য এই হাটটির নিকটেই রয়েছে নরসিংদী রেল স্টেশন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা ও ব্যবসায়ীরা নদীপথে, রেলপথে ও সড়কপথে এসে হাট থেকে কাপড় কিনে নিয়ে যায়।
এক সময় এই অঞ্চলে মসলিনের উপযুক্ত সুতা তৈরি হতো এবং এই সুতা দিয়ে তৈরি হতো বিখ্যাত মসলিম কাপড়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে
ইংরেজদের আগমনের পর এদেশে সুতা তৈরি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় কলে সুতা তৈরি করা হতো এবং তাঁতিরা এতে
অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ইংরেজ আমলে বাবুরহাটে সুতা আসার জন্য,প্রথমে বিলেত ও বোম্বে থেকে সুতা আমদানি হয়ে নারায়ণগঞ্জে আসত,
সেখান থেকে আসা হতো বাবুরহাটে। ইংরেজ আমলদের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জ সহ ঢাকেশ্বরী, ও লক্ষ্মীনারায়ণ এবং চিত্তরঞ্জন
কটন মিলস স্থাপন করা হয় এবং সেখানকার কাপড় তৈরির পর উদ্বৃত্ত সুতা তাঁতিদের নিকট এই হাটের মাধ্যমে বিক্রি হতো।
হাটটির বর্তমান অবস্থা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাট বাবুরহাট প্রায় এক হাজারেরও বেশি ঘরে কাপড় ক্রয় বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এই হাটটিতে মাথার টুপি থেকে শুরু করে
পায়ের মোজা পর্যন্ত সকল ধরনের কাপড় চোপড় পাওয়া যায়। হাটটি পাইকারদের জন্য অন্যতম একটি জায়গা। পায়খানা এই হাট থেকে
বিভিন্ন দ্রব্য পাইকার মূল্যে ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে খুচরা মূল্যে বিক্রি করে থাকে। তবে এ হাটে শুধু পাইকাররাই আসে না বরং
সকল ধরনের ব্যবসায়ীদের এই হাটে দেখা যায়। জিনিসপত্রের দাম অন্যান্য জায়গায় তুলনায় অনেক কম থাকায় অনেক মানুষ এই হাটে ভিড় জমায়।
হাটটি কি কি বারে বসে?
একটা সময় ছিল যখন এই হাটটি সপ্তাহে কেবল রবিবারে বসত। বর্তমানে সপ্তাহে তিনদিন শনি, রবি ও সোমবার হাটটি বসে।
এই তিন দিন বাদ দিয়েও সপ্তাহের অন্য দিন বাজার খোলা থাকে। সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হাটে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালামাল কেনা-বেচা হয়ে থাকে।
পরিশেষে
আজকে আমরা জানতে পারলাম বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপড়ের হাট বাবুরহাট সম্পর্কে। আশা করা যায় আর্টিকেলটি আপনাদের
উপকারে এসেছে। এ সম্পর্কে মতামত থাকলে আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। তাছাড়া আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে
কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে কি কমে যাবে পেঁয়াজ এর দাম
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি গার্মেন্টস শিল্প ২০২৩
বাইক নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন উক্তি