বাংলাদেশে এমন একটি দেশ যেখানে সবকিছুর প্রাইজ একটু বেশি। তুমি যদি বাংলাদেশ এর বাইকের আর্থিক বাজার মূল্য সম্পর্কে
জ্ঞান রাখ তাহলে জানবে যে বর্তমানে যেখানে ইন্ডিয়াতে একটি গাড়ি 3 লাখ টাকায় কিনতে পারবে সেখানে বাংলাদেশ এই গাড়িটির দাম প্রায় 5 লাখ টাকার মতো।
সেখান থেকে হিসাব করে নিতে পারো ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে কতটা পার্থক্য। ঠিক সেরকম যদি বাংলাদেশে কোন সাধারন
বাইক কিনতে চাও তাহলে তোমাকে আসল দামে থেকে বেশি টাকা দিতে হয় শুধু গাড়ি নয় অন্যান্য জিনিসের দাম বাংলাদেশে অনেক বেশি।
তাহলে হয়তো আন্দাজ করতে পারছে বাংলাদেশের আর্থিক বাজার এর অবস্থান বর্তমানে কোথায় রয়েছে।
যাই হোক আজকের এই ব্লগে আমরা ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের সেম বাইকের প্রাইস জানবো এবং দুটি দেশের বাইকের
প্রাইস এর মধ্যে কতটা পার্থক্য রয়েছে সেই সম্পর্কে আজকের ব্লগটিতে জানবো।
আর যেহেতু বাংলাদেশে 165cc পর্যন্ত বাইকের লিমিট রয়েছে সেহেতু এই ব্লগে বাইকগুলি 125 সিসির মধ্যে থাকবে।
বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল ব্লগে চলে যাই

Suzuki Gixxer 150 SF
প্রথমে আমরা যে বাইকের প্রাইস জানতে চলেছি সেটি হচ্ছে সুজুকি জিক্সার এস এফ ১৫০
এই বইকটি 155 সিসির ফুল ফিলড স্পোর্টস বাইক যদিও পপুলারিটি কথা বলি ইন্ডিয়াতে অতোটা পপুলার নয় তবে বাংলাদেশে
এই বইকটি ভালোজনপ্রিয়, প্রতিবছর বাংলাদেশে এই বাইকটি প্রায় অধিক পরিমাণে বিক্রি হয়ে থাকে, যাই হোক এবার এই
বাইকের প্রাইস টা জেনে নেওয়া যাক। সুজুকি জিক্সার এসএফ 150 ইন্ডিয়াতে প্রাইস প্রাইস 1 লাখ 63 হাজার টাকার মত যেটা
কিনা অন রোড প্রাইস মানে সব মিলিয়ে ফাইনাল প্রাইজ
এবং বাংলাদেশ একটি দাম বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ 22 হাজার টাকার মতো দেখতে গেলে তো বাংলাদেশে বাইকটির দাম কিছুটা
বেশি তবে কতটা বেশি সেটা হিসাব করলেই বোঝা যাবে
বর্তমানে ইন্ডিয়ার ১ টাকা সমান বাংলাদেশ ১ টাকা 30 পয়সা সেহেতু ইন্ডিয়ার ১ লাখ 63 হাজার টাকার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের ২ লাখ11 হাজার টাকার মতো।
সেখানে বাংলাদেশে এই বাইকটি কে তিনলাখ 22 হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান টাকায় প্রায় 85 হাজার 400 টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে এবং সেম বাইকটি। বাংলাদেশি টাকায় দেখতে গেলে 1 লাখ 10 হাজার 600 টাকার মতো বেশি নেওয়া হচ্ছে।
আশা করছি হিসেবে তোমরা বুঝতে পেরেছ এবার না বুঝতে পারলে সেটা আমার দোষ নয়
Suzuki Gixxer 150
যাই হোক এবার ছোট বাইক এর দিকে আসা যাক মানে জিক্সার 150 বাইকের দিকে। একটি জিক্সার এস এফ এর নেকেড ভার্সন বলতে পারো।
আর একটি সম্পূর্ণ জিক্সার এস এফ এর মত শুধু এর ফেয়ারিং নেই এবং এর সামনের হেডলাইটের ডিজাইন টা একটু অন্যধরনের।
যাইহোক এসবদিকে না গিয়ে আমরা প্রাইস এর দিকে আসি এই বাইকটি ইন্ডিয়াতে প্রাইস 1 লাখ 43 হাজার টাকার মত।
যেটা অন রোডপ্রাইস এবং বাংলাদেশে এই বাইকের দাম ২ লাখ 43 হাজার টাকার মতো ইন্ডিয়ার এক লাখ
43 হাজার টাকার মানে হচ্ছে বাংলাদেশে এক লাখ 85 হাজার টাকা
এবং বাংলাদেশের দুই লাখ 43 হাজার টাকার মানে হচ্ছে ইন্ডিয়াতে এক লাখ 87 হাজার টাকা তো সেদিক থেকে
দেখতে গেলে ইন্ডিয়ান টাকায় 44 হাজার টাকার মতো বেশি নিচ্ছে এবং বাংলাদেশি টাকায় দেখতে গেলে 58 হাজারটাকার মতো বেশি নিচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশের সুজুকির আরো একটি পপুলার স্পোর্টস বাইক এভেলেবেল রয়েছে সেটি হল সুজুকি
gsx-r 150 তবে ইন্ডিয়াতে অ্যাভেলেবেল নেই তাই আর এই বাইকটি কে নিয়ে আমি আর কথা বললাম না তবে ইন্ডিয়াতে এই বাইকটি আসলে এরদাম বাংলাদেশ থেকে কম হবে।
Read More : টাঙ্গাইল জেলার সকল থানা-র লিস্ট (২০২৩)
Pulsar NS 160
এর পরে আমরা যে বাইকটিদেখতে চলেছি সেটি হচ্ছে পালসার ns160 এটি বাজাজ কোম্পানির একটি পাওয়ার ফুল নেকেড স্পোর্টস বাইক। বলতে পারো বাজাজ ns160 একটি ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশে এভেলেবেল রয়েছে তবে ইন্ডিয়াতে এই বাইকটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়।
যাইহোক এই বাইকের ইঞ্জিনের কথা যদি বলি এতে ইঞ্জিন হিসেবে রয়েছে 160 সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন এবং দেখতে
গেলে 160cc সেগমেন্টে অনেক পাওয়ারফুল যাই হোক এবার এর প্রাইস টা জেনে নেওয়া যাক nsc বাইকটির ইন্ডিয়াতে
প্রাইস 1 লাখ 54 হাজার টাকার মত যেটা কিনা এক শোরুম প্রাইস এবং বাংলাদেশে এই বাইকের প্রাইস 2 লাখ 10 হাজার
টাকার মতো দেখতে গেলে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 10 হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে এবং ভারতীয় টাকায় দেখতে গেলে 7000 টাকার মধ্যে বেশি নেওয়া হচ্ছে
Pulsar N 160
আরও একটি ন্যাকেড বাইক অ্যাড করেছে তাদের লিস্টে যার নাম হচ্ছে n-160 এটি বাজাজ পালসার সিরিজের ব্র্যান্ড
নিউ একটি বাইক বলতে পারো এটা কিছু দিন আগে লঞ্চ হয়েছে।
যাই হোক এই বাড়িটিতে ইঞ্জিন হিসেবে আছে 164 সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন এটি ১৬ হর্স পাওয়ারের মত শক্তি
জেনারেট করতে পারে, এবং এক দিক থেকে দেখতে গেলে এ বাইকটা অনেক সুন্দর আর সামনের লোকটা আমার কাছে কিছুটা MT 15 র বাইক এর মত লাগে
যাই হোক এবার এর মেইন জিনিস প্রাইস এর দিকে আসা যাক এর প্রাইজ ইন্ডিয়া তে প্রায় এক লাখ 56 হাজার টাকার
মত যেটা কিনা অন রোড প্রাইস আর বাংলাদেশেই বাইকের দাম দুই লাখ 65 হাজার টাকার মত যদি প্রাইজের পার্থক্যের
কথা বলি বাংলাদেশী টাকা অনুযায়ী প্রায় 47 হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে এবং ভারতীয় টাকা অনুযায়ী প্রায় 62 হাজার টাকার মত বেশি নেয়া হচ্ছে
KTM
এবার আসি KTM বাইকের দিকে যেটা ইন্ডিয়াতে তো অনেক পপুলার বাংলাদেশ তেমন পপুলার নয় বলেই চলে।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে KTM এর দাম যেটা শুনলে হয়তো তোমরা অবাক হয়ে যেতে পারো সামান্য আরসি 125 এর দাম বাংলাদেশে প্রায় 5 লাখ 66হাজার টাকার মত
যেটা বাংলাদেশের সবথেকে পপুলার বাইক R15 এর প্রাইস এর থেকেও বেশি তাহলে বুঝতে পারছ সামান্য আরসি 125 এর দাম বাংলাদেশে কতটা বেশি।
এখানে ইন্ডিয়ার প্রাইসএর কথা যদি বলি ইন্ডিয়াতে আরসি 125 প্রাইস প্রায় 2লাখ 12 হাজার টাকার মত যেটা অন রোড প্রাইস আর ইন্ডিয়া 2লাখ 12 হাজার টাকার হাজার টাকার মানে হচ্ছে বাংলাদেশে দুই লাখ 75 হাজার টাকার মতো।
সেখানে বাংলাদেশি বাইকটি কে 5 লাখ66 হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে দেখতে গেলে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 2 লাখ
91 হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে এবং ভারতীয় টাকায় 2 লাখ 23 হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে ।

RC Nacked Version
পার্থক্যটা কিন্তু অনেক বড় অংকের এর প্রাইস শুনে আমার এটাই মনে হয় যে আদৌ তারা প্রতি মাসে একটি বাইক
বিক্রি করতে পারে তো। আমার তো মনে হয় না পারে সত্যি বলতে আরসি 125 থেকে আর ওয়ান ফাইভ হাজার গুন
ভালো একটি বাইক বাংলাদেশ কেটিএম এর আরো একটি বাহিক এভেলেবেল রয়েছে সেটি হল ডিউক 125 কেটিএম আরসি নেকেড ভার্সন বলতে পারো
তবে বাংলাদেশের রাস্তায় এই বাইকটি তেমন দেখা যায় না বললেই চলে আর দেখা যাবে বা কি করে মাত্র 125 সিসিরবাইক এর দাম যদি এত বেশি হয় তাহলে সাধারণ মানুষকি করে এগুলো কিনবেন।
যাই হোক এসব কথা বাদ দেওয়া যায় এবারের প্রাইস দিকে আসা যাক ইউরোপিয়ান ভার্সন টা রয়েছে সেটির
প্রাইস বাংলাদেশের ছয় লাখ 5 হাজার টাকার মতো এবং ইন্ডিয়াতে ডিউক 125 প্রাইস 26 হাজার টাকার মত
যেটা অন রোড প্রাইস এটা যদি ক্যালকুলেট করো তাহলে দেখবে বাংলাদেশ একটি বাংলাদেশী টাকা অনুযায়ী
তিন লাখ 38 হাজার টাকার মতো বেশি নেওয়া হচ্ছে এবং ইন্ডিয়ান টাকায় দেখতে গেলে প্রায় 2 লাখ 59হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে।
Yamaha R15
এবার আসি বাংলাদেশ থেকে পপুলার স্পোর্টস বাইক এর দিকে সেটি হল ইয়ামাহা r15। 155সিসির মধ্যে
সবথেকে পাওয়ারফুল একটি বাইক তাছাড়া অনেক মারাত্মক পার্সোনালিটি আমার ফেভারিট বাইক এর মধ্যে একটি।
যাইহোক এই বাইক বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর স্পোর্টস বাইক এর মধ্যে রয়েছে যেহেতু বাংলাদেশে
165cc পর্যন্ত বাইকের লিমিট রয়েছে সেহেতু বাংলাদেশ 165cc উপরে কোন বাইক পাওয়া যায় না
আর 165cc এর ভেতরে সবথেকে পাওয়ারফুল এবং অ্যাডভান্স লেভেলের বাইক হচ্ছে এই r15
বাইক
তো তার জন্য মূলত এখনকার সময়ে বাংলাদেশের সবার আগে রয়েছে যাইহোক এবার এর প্রাইস টা জেনে নেওয়া যাক
r15 v4 এর প্রাইস বাংলাদেশ 5 লাখ 55 হাজার টাকার মতো এবং সেম বাইক এর দাম ইন্ডিয়াতে 2 লাখ
32 হাজার টাকার মত যেটা অন রোড প্রাইস এর প্রাইস শুনে বুঝতে পারছ ইন্ডিয়াতে কত কম দাম আর বাংলাদেশে কত বেশি দাম।
বাংলাদেশি টাকায় দেখতেগেলে দুই লাখ 58 হাজার টাকার মতো বেশি নেওয়া হচ্ছে এবং ভারতীয় টাকায়
দেখতে গেলে বাংলাদেশে এই বাইকটি এক লাখ 94 হাজার টাকার মতো বেশি নেওয়া হচ্ছে ।
যাইহোক এবার ইয়ামাহাr15 বাইকের প্রাইস টা জেনে নেওয়া যাক আশা করি সবাইবুঝতে পেরেছ আমি
কোন বাইকের কথা বলছে বাইকটি হচ্ছে ইয়ামাহাএম টি ফিফটিন 225 নেকেড ভার্শন বলতে পারো
R15 এর ইঞ্জিন রয়েছে এতে থেকে 155 সিসির ইঞ্জিন হয়েছে শুধু এর বডি ডিজাইন টা আলাদা এটা হচ্ছে
ন্যাকেড বাইক এবং ওটা Sports বাইক প্রাইস দিকে আসা যাক এর প্রাইস বাংলাদেশে প্রায় 5 লাখ 25 হাজার
টাকার মতো এবং ইন্ডিয়াতেএর প্রাইজ দুই লাখ টাকার মতো বাংলাদেশি টাকায় দেখতে গেলেপ্রায় 2 লাখ 65
হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে এবং ভারতীয় টাকায় দেখতে গেলে বাংলাদেশের প্রায় দুই লাখ তিন হাজার টাকার মতো বেশি নেয়া হচ্ছে।
পরিশেষে
তো সুপ্রিয় দর্শক বন্ধুরা কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে
থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো। ধন্যবাদ।