কোরবানির গরু নিয়ে স্ট্যাটাস
প্রিয় দর্শক আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । কোরবানি ঈদ এর জন্য আমরা সমাজের সামর্থ্যবানরা গরু ক্রয় করে থাকি। অনেক সময় আমরা গরুর ছবি ফেসবুকে অথবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে চাই। সে জন্যই অনেক সময় আমরা কোরবানির গরু নিয়ে স্ট্যাটাস এবং ক্যাপশন খুঁজে থাকি। আপনি যদি কোরবানির গরু নিয়ে স্ট্যাটাস এবং ক্যাপশন খুঁজে থাকেন আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যই তাহলে চলুন কোরবানির গরু নিয়ে স্ট্যাটাস এবং ক্যাপশন গুলো পড়ে ফেলি।
কোরবানির গরু নিয়ে কিছু কথা
কোরবানির ঈদ এটি মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য অনেক আনন্দের এবং ত্যাগের একটি উৎসব। এটি মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য আমরা কোরবানি করে থাকি । কোরবানির উদ্দেশ্য শুধু মাংস খাওয়া নয় এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং কোরবানির গোশত সমাজের মানুষদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া । সমাজে যারা দরিদ্র যাদের কোরবানি করার মত সামর্থ্য নেই তাদেরকে কোরবানির গোশত থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
মুসলমানদের জন্য কোরবানি ফরজ না হলেও সমাজে যারা সামর্থ্যবান তাদেরকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে । কোরবানি করার জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক গরুটি সঠিক কিনা। খেয়াল করতে হবে গরুর গায়ে যেন কোন ধরনের খুঁত না থাকে । কোরবানি গরু কেনার জন্য যে টাকা দিয়ে ক্রয় করা হবে সেই টাকাটি অবশ্যই হালাল থাকতে হবে । কোরবানির গরু কেনার সময় মাথায় রাখতে হবে এখানে যেন কোন লাভ-ক্ষতির হিসাব না থাকে কারণ আপনি কুরবানী দিবেন আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য কোন মানুষকে রাজি খুশি করার জন্য না।
কোরবানি নিয়ে উক্তি
ইব্রাহিম নবী তিনবার সম্মুখীন হলেন মহা পরীক্ষার।
— এম এম মামুনুর রশিদ
১০ই জিলহাজ প্রতিবছর কতই যে সহস্র পশু কোরবানি হয় তার কোন হিসাব নেই।
— এম এম মামুনুর রশিদ
পরিবারের সব সদস্যই যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তাদের প্রত্যেকের উপর কোরবানি ওয়াজিব।
— সংগৃহীত
কোরবানির জন্য কিনা পশুর রক্ত মাটিতে পৌঁছানোর আগেই যে কোরবানি দেয় আল্লাহ তার কোরবানি কবুল করে নেয় এবং তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়।
— তিরমিজি শরীফ ১/১৮০
Read More: বন্ধু নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন
কোরবানি নিয়ে স্ট্যাটাস
ত্যাগ মানেই হলো কোরবানি।
– আলি আহা
মুমিন বান্দার আত্মত্যাগ হলো পশুর প্রান ত্যাগ।
– সংগৃহীত
শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে রাজি খুশি করার স্বার্থেই পশু কোরবানি করা উচিত।
কোরবানি নিয়ে হাদিস
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) সাদা-কালো বর্ণের বড় শিং বিশিষ্ট নর দুম্বা কোরবানি করেছেন। আমি দেখেছি, তিনি — বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বললেন। তারপর তিনি নিজ হাতে জবাই করলেন। (বুখারি, হাদিস : ২/৮৩৪)
অতএব কোরবানির জন্তু জবাই করার বিধান হলো- গরু, ছাগল ও দুম্বা জবাই করা হবে তার সাথে উট নহর করা হবে। নবী করিম (সা.) এমনটাই করেছেন।
কোরবানি নিয়ে কিছু কথা
আমরা মূলত কোরবানির সময় নিজের ভেতরের পশুত্ব কোরবানি করি।
প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য নিজের মন হতে কোরবানি করাই হচ্ছে আসল কোরবানি
কোরবানি শুধু আল্লাহর নামে করতে হবে অন্য কারো নামে করলে তা হারাম হয়ে যাবে।
শেষ কথা
এই ঈদে স্রষ্টা কে সন্তুষ্ট করার জন্য আমরা পশু জবাই করে থাকি। তার সাথে সেই পশু জবাই করা মাংস আমরা এক ভাগ রেখে অবশিষ্ট সব গরীব-দুঃখীদের জন্য বিলিয়ে দেই। কোরবানির ঈদে মুসলমানদের কাজ হল ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু জবাই না দেওয়া। কারণ ক্ষুদ বিশিষ্ট পশু কোরবানি দেওয়া ইসলামের আলোকে বৈধ নয়। এইজন্য আমরা ইসলামের আইন অনুযায়ী পশু কোরবানী দেব। আজকে আমরা এই পোষ্টের সাহায্যে কোরবানি নিয়ে কতিপয় কথা তার সাথে হাদিস স্ট্যাটাস উক্তি সম্পর্কে জানাতে ট্রাই করেছি। আশাকরি আপনাদের আজকের এই পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।