বাংলাদেশের মানচিত্র
আসসালামু আলাইকুম নতুন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম আজকের এই ব্লগটিতে আমরা জানতে পারবো বাংলাদেশের
মানচিত্র সম্পর্কে এবং এর ব্যাখ্যা তাহলে চলুন বাংলাদেশের মানচিত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কক্সবাজারের শান্ত সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে, সিলেটের সবুজ পাহাড় এগুলো সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
এগুলো দেশটিকে সৌন্দর্য ও সংস্কৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর করতে যথেষ্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত আমাদের এই বাংলাদেশ টি মানচিত্র নিয়ে গর্ব
করার মতো একটি বিষয়। যা দেশটির ঐতিহাসিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ শহর এ প্রকাশ ঘটে। এই ব্লগে আমরা বাংলাদেশের মানচিত্র এর ভৌগোলিক
বৈশিষ্ট্য এবং ভ্রমণকারীদের জন্য বাংলাদেশ কি কি অফার করে তার সম্পর্কে জানতে চলেছি, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের ভৌগলিক সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাংলাদেশ ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি সুন্দর দেশ। আমাদের এই দেশটি ভারত এবং মায়ানমারের সাথে ভৌগোলিক
অবস্থান ভাগ করে নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে। এতে রয়েছে অসংখ্য নদী পাহাড়
নদী ও একটি ম্যানগ্রোভ বন । বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এবং ভূগোল ইতিহাস ও সংস্কৃতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
প্রশাসনিক বিভাগঃ
বাংলাদেশের মানচিত্রে আটটি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো
- চট্টগ্রাম
- বরিশাল
- ঢাকা
- ময়মনসিংহ
- খুলনা
- রাজশাহী
- রংপুর
- সিলেট
এই আরটিবিভাগ আবার জেলায় বিভক্ত রয়েছে। আমাদের দেশে প্রায় সব মিলিয়ে 64 টি জেলা রয়েছে। এই বিভাগগুলো
দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে কাজ করে এবং বাংলাদেশের আঞ্চলিক বৈচিত্রের জন্য অবদান রাখে।
প্রধান শহরঃ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এটি বাংলাদেশের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটি একটি মেট্রোপলিটন এলাকা এটি প্রাণবন্ত সংস্কৃতি
ও ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্দর হল চট্টগ্রাম বন্দর এবং সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হল সুন্দরবন
যা অবস্থিত খুলনায়। ঢাকার মত বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শহর দর্শকের জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা প্রদান করে
প্রাকৃতিক বিস্ময়ঃ
বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক বিস্ময় কল্পনাকে মোহিত করে। সুন্দরবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ম্যানগ্রোভবনের মধ্যে একটি। রাজকীয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার একমাত্র এই সুন্দরবন এই পাওয়া যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি প্রায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত। মনোরম সৌন্দর্য
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং বান্দরবানের সবুজ পাহাড় ও ঘুরে দেখার মত।
ঐতিহাসিক নিদর্শনঃ
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বৈচিত্র্যময় ও প্রাণবন্ত। যার প্রমাণ বাংলাদেশের মানচিত্র পাওয়া যায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয়
মসজিদ দেশের বৃহত্তম মসজিদ ইসলামী স্থাপত্য শরীরের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন যা ঢাকায় অবস্থিত। বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ
হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। বাংলাদেশের উৎসব ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও হস্তশিল্প এর সাংস্কৃতির দিকে আরো সমৃদ্ধ করে।
বন্যপ্রাণী এবং ইকো-ট্যুরিজমঃ
বাংলাদেশে অসংখ্য বন রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। প্রকৃতির প্রেমীদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্রে বিভিন্ন
ধরনের উদ্যান এবং বন। বন্যপ্রাণী গুলো অর্থাৎ বাংলাদেশের পশু পাখিরা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের
বন্যপ্রাণী রয়েছে সুন্দরবনের বাঘ সারা বিশ্ব বিখ্যাত।

সৈকত এবং উপকূলীয় অঞ্চলঃ
বঙ্গোপসাগর সহ বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি উপকূলীয় রেখা আছে যা সত্যিই আশ্চর্যজনক। কক্সবাজারকে প্রায়শই বিশ্বের দীর্ঘতম
প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সাগর প্রেমীদের জন্য অবশ্য ভ্রমণের একটা জায়গা।
নদী ব্যবস্থাঃ
বাংলাদেশে অসংখ্য নদী রয়েছে যেমন ব্রহ্মপুত্র মেঘনা গঙ্গা-যমুনা ইত্যাদি। এই নদীগুলো শুধু জলের সংস্থানই করে না দেশের
সমভূমিকে সুন্দর আকৃতি দেয় এবং উর্বর করে। এই নদীগুলো সৌন্দর্য দেখে বোঝা যায় বাংলাদেশ নদীমাতৃক একটি দেশ।
নদীগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত এলাকাঃ
বাংলাদেশের মানচিত্রে অনেক জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এর জায়গায় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাতছড়ি জাতীয়
উদ্যান এবং ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। উদ্যান গুলো মূলত উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল সেখানে বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ এবং অপার প্রকৃতি দেখা যায়।
ধর্মীয় স্থানঃ
বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ দেশ। এর মানচিত্রে অসংখ্য পবিত্র স্থান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বায়তুল মোকাররম
মসজিদ ঢাকেশ্বরী মন্দির ইত্যাদি। ঢাকার তারকা মসজিদ, বাগেরহাটের মসজিদ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত ঐতিহাসিক ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ করে।
অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমঃ
বাংলাদেশের মানচিত্রে অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানীদের জন্য রয়েছে প্রচুর অপশন। ট্র্যাকিং হ্যাকিং ওয়াটার স্পোর্টস এর মত অনেক
উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বাংলাদেশে প্রচুর। বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটির মনোরম পাহাড় গুলো ট্রাকিং এর জন্য
মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে। বাংলাদেশের নদী গুলো কিং রেফটিং এবং ভোটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। যা এডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য স্মৃতির পাতায় অবসস্মরণীয় একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে।
উৎসব এবং উদযাপনঃ
যদিবাংলাদেশের বাংলা ক্যালেন্ডার ঐতিহ্যবাহী উৎসবে পরিপূর্ণ। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আনন্দের গন্তব্যে
পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে পহেলা বৈশাখ ঈদুল ফিতর ঈদুল আজহার দুর্গাপূজা সরস্বতী পূজার মতো অনেক
বড় বড় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে বোঝা যায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সমৃদ্ধ।
উপসংহারঃ
বাংলাদেশ তাঁর সৌন্দর্য বৈচিত্র এবং আতিথেয়তার জন্য পর্যটকদের সবসময় স্বাগতম জানায়। এর আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বিস্ময়
এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী উৎসব বাংলাদেশের প্রতিটি দর্শনার্থীর জন্য মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা
তৈরি করতে সহায়তা করে। সুতরাং এই অসাধারণ দেশটি তে ভ্রমণের মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
[sp_easyaccordion id=”462″]