চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, ২৯/৬ /২০২৩ ঈদের দিন রাজধানীর সহ নানা এলাকার কোরবানির পশুর চামড়া দুপুর থেকে ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করে নিয়ে
আসছেন লালবাগের পোস্তায়। সেখান থেকে নানান চামড়া ব্যবসায়ীরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনে থাকেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছরে চামড়ার দাম বেশ ভালো তবে টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে রয়েছে।
তারা মনে করছে চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে।
চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
অনেক ব্যবসায়ীরা বলছেন আগের তুলনায় মৌসুমী ব্যবসায়ী কমে আসার জন্য চামড়ার আমদানি ও কমে গেছে। অনেকে মনে
করছেন যে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরে কাঁচা চামড়া বেশি নষ্ট হবে, এর কারণ হিসেবে তারা জানান ঢাকা থেকে চামড়া সময়
মতো সংগ্রহ করা পারলেও ঢাকার বাইরে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে চামড়া সংগ্রহ করা যাবে না। যার ফলে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েই যায়।
চামড়ার বাজার
২৯ শে জুন রোজ বৃহস্পতিবার লালবাগের পোস্তায় দেখা যায় মোটামুটি বিকাল ২:৩০ এর পরপরই ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া আসতে।
লালবাগের শায়েস্তা খান এলাকা রাজনারায়ন ধর ঢেরা সহ নানান জায়গায় কোরবানির পশুর চামড়ায় যেন ভরে গেছে। সেই সময় থেকেই
পাইকারি ব্যবসায়ী রা বিভিন্ন এলাকার নানান মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করতে শুরু করে। এই বৃহস্পতিবার রাত যত
বাড়বে ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা ততোই জমতে শুরু করবে।
Read More: কোরবানির গরু নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস।
চামড়ার দাম
প্রতিটি বড় আকারের চামড়া ৮৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে। আর ছোট ও মাঝারি আকারের চামড়া
গুলো ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এটা থেকে বোঝা যায় গরি একজন ব্যবসায়ী রা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার
চামড়া বিক্রি করছে। আগের বছরের চেয়ে এ বছরে চামড়ার দাম বাড়লেও শ্রমিক খরচ এবং লবণের দাম মোটামুটি ৬৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকার মত বেড়েছে।
চামড়ার দাম বৃদ্ধি
পোস্তায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জানা যায় যে পোস্তায় গভীর রাত পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহসহ কেনাবেচা চলে। ব্যবসায়ীদের
প্রথম কাজ হল চামড়াগুলো সংগ্রহ করে দ্রুত লবণজাত করা। এই লবণজাত করা চামড়া পড়ে সাভারের ট্যানারি গুলোতে পাঠিয়ে দিবেন তারা।
বাংলাদেশ সরকার গতবছরের চেয়ে এবার মাঝারি চামড়াগুলোতে 60 থেকে 80 টাকা এবং বড় আকারের চামড়া গুলোতে 150 টাকার মত
বাড়িয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন এবারের বৃষ্টির জন্য চামড়ার গুণগত মান ঠিক থাকবে না ফলে অনেক চামড়া পচে যাবে।
ফলে রয়েই যায় চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। এ থেকে বোঝা যায় দেশের সবচেয়ে বড় চামড়ার আড়তে অন্যান্য বছরের মত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ হবে না।
মোঃ সমির উদ্দিন এর বক্তব্য
হানিফ এন্ড সন্সের মালিক সমির উদ্দিন বলেন যে তারা ৪৮ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করছে কিন্তু আগের তুলনায়
এখন চামড়া অনেককম আসে। এমনকি অনেক চামড়া সরাসরি ট্যানারিতে চলে যায়। সে বলেন এবার বৃষ্টি হওয়ার
কারণে চামড়ায় সময় মতো লবণ দিতে নাপারলে চামড়া দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তার অনুমানের রাত আটটার পরে যে
চামড়া আসবে সেটার গুণগত মান ঠিক রাখা যাবে না এর কারণসকাল দশটায় কোরবানি হলেই সে চামড়া যদি রাত
আটটার দিকে আসে তাহলে সেই চামড়ায় পচন ধরবে এটা স্বাভাবিক।