Responsive Menu
Add more content here...

প্রতিকূল আবহাওয়ায় চামড়ার মান নষ্টের আশঙ্কায় বরিশালের ব্যবসায়ীরা।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় চামড়ার মান নষ্টের আশঙ্কায় বরিশালের ব্যবসায়ীরা

এবার বৃষ্টি থাকায় চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আসায় চামড়ার মান

নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।কেননা দূর-দূরান্ত থেকে আসা চামড়া লবণযাত  করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কারণ অনেক

দূর থেকে আসে। আর লবণজাত যদি ভালোভাবে না করা যায় তাহলে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যেই মোটামুটি চামড়ায় পচন ধরতে শুরু

করে। আর এই পচনের বেশ কয়েক ঘন্টা পরে একবারই পোঁচে যায় যা পরে ব্যবহারের একদমই অযোগ্য হয়ে পড়ে।

Read more: পর্দা নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন

বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী সমিতির মতে

বরিশাল বিভাগীয় কাচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার চামড়া পিস প্রতি ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গতবার স্থানীয় পর্যায়ে ৩৫০ টাকা দামে চামড়া ক্রয় করলেও তারা এবার ৪৫০ টাকা হারে ক্রয় করছেন। কোনো কোনো চামড়া আরও

বেশি দামে কেনা হচ্ছে। তবে, এবার বৃষ্টি থাকায় চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আসায় চামড়ার মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

বাজারের দৃশ্যপট

বরিশালের বাজারের দৃশ্যপট অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। তবে, আগের বছরের চেয়ে এবার

অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য চামড়া বিক্রেতারা খুব খুশি।  চামড়ার দাম বৃদ্ধির কারণ হলো অতিরিক্ত বৃষ্টি। 

এই অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বরিশাল থেকে অন্যান্য জায়গায় যেমন ঢাকা পৌঁছাতে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়  বৃষ্টির কারণে

See also  চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রী পরিবহণ শুরু

যানবাহনের চলতে অনেক অসুবিধা হয় এ কারণে চামড়ার  আরতে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয় যার ফলে চামড়া পচন ধরার আশঙ্কা থেকে যায়।

চামড়ার হাট

বরিশালের পাইকারি চামড়ার হাট পদ্মাবতী ও পোর্ট রোড এলাকায় দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত গাড়ি ও রিকশায় ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে

পৌঁছাচ্ছেন। প্রতি বছরই দুপুর ২টা থেকে চামড়া এলেও এবার বৃষ্টির কারণে ৩ ঘণ্টা পর বাজারে চামড়া আসতে শুরু করে।  অনেক

ব্যবসায়ীরা এই বৃষ্টির জন্য খুশি হয়েছেন কারণ তারা একটু বেশি দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন। মনে করা যাচ্ছে যে রাতের

দিকে বরিশালের পাইকারি চামড়ার হাট পদ্মাবতী ও পোর্ট রোডে  চামড়ার বাজার জমে যাবে।

চামড়ার মান নষ্টের আশঙ্কায় বরিশালের ব্যবসায়ীরা

নাসির হাওলাদারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী

পোর্ট রোড এলাকার পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা ছোট বড় মিলিয়ে প্রতি পিস চামড়া ৫৫০

টাকা করে ক্রয় করছিলেন। কিন্তু, বৃষ্টিতে ভিজে চামড়ার মান খারাপ থাকায় ৪৫০ টাকা করে কিনেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক দূর-দূরান্ত থেকে চামড়া আসায় মান অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে। তাই এগুলো থেকে ভালো দাম পাওয়া

সম্ভব হবে না। চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজে কর্মরত আছে ১০০ জন শ্রমিক।’

 নাসির হাওলাদার এর মত আরো অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অনেক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আবার লাভের সম্মুখীন হচ্ছেন।

ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বৃষ্টির কারণে।  বৃষ্টির কারণে তারা সময়মতো চামড়া আসল গুদামে প্রবেশ করাতে পারছেন না এর ফলে চামড়ার

পচন এর দিকটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তারা লাভের সম্মুখীন হচ্ছেন এইভাবে আগের বছরের তুলনায় এবারের চামড়ার দাম অনেক বেশি

এবং এর  প্রাপ্যতা অনেক কম এদিক থেকে তারা লাভের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে বলা যায় লাভের চেয়ে তারা ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হচ্ছে।

পরিদর্শনকারীদের তথ্য অনুযায়ী

তাদের তথ্য অনুযায়ী, বর্গফুটে নয় চামড়া বড়, মাঝারি ও ছোট এভাবে কেনাবেচা হচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো চামড়া (২৫-৩০ বর্গফুট)

See also  ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা।

৫৫০-৬৫০ টাকা, মাঝারি (২০-২৫ বর্গ ফুট) ৪০০-৫০০ টাকা ও ছোট (২০ বর্গফুটের মোটামটি নীচে) ২৫৫ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বর্তমানে ।

নগরীর বিভাগীয় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি ৫ হাজার পিস চামড়া কিনেছি। বড় চামড়া প্রতি

পিস ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করা হয়েছে। কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে বড় আকারের চামড়া মোটামটি ৮৫০ টাকা পর্যন্ত

খরচ হয়ে জাচ্ছে বলে অনেকে । সে হিসাবে দাম ঠিক আছে।’

দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিক্রেতারা। তাদের দাবি, প্রতি বর্গফুটে দাম ৩ টাকা বাড়লেও সরকার নির্ধারিত দাম তারা পাননি ।

তবে, তারা স্বীকার করেছেন, পিস প্রতি গতবারের চেয়ে ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত বেশি পেয়েছেন।  যা আগের দামের চেয়ে  মোটামুটি অনেক বেশি।

সদর উপজেলার হাট

সদর উপজেলার সাহেবের হাটের মাদ্রাসা থেকে ৩০০ পিস গরুর চামড়া আনা ওয়াক্কাস ভালো দাম না পেয়ে ট্রাক নিয়ে ফেরত যান।

তিনি বলেন, ‘এক লাখ, দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়া কেউ ৪৫০ টাকার বেশি দাম বলছে না। এরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা কাঁচা চামড়া নিয়ে বিপদের মধ্যে পড়েছি। ফলে, পাইকার ব্যবসায়ীরা যা বলে তা দিতে বাধ্য হতে হয়।’

আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী নিমাই বলেন, তিনি ৫টা বড় চামড়া ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে তার অসন্তুষ্টি ভালোভাবেই প্রকাশ পেয়েছে।

ডা. মো. আবদুস সবুর (প্রাণিসম্পদ বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক) বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে এবার ২.১২ লাখের বেশি গরু ও ১.৯০ লাখের বেশি ছাগল, ২০ হাজার ভেড়া ও ৩ হাজার মহিষ কোরবানি হয়েছে।’

 পরিশেষে

 পরিশেষে আমরা বলতে পারি গতবারের চেয়ে এবারের চামড়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে এমনকি চামড়ার স্বল্পতাও দেখা যাচ্ছে যার প্রভাব বেশ কিছুদিন পর পড়বে বলে আশা করা যায় কারণ চামড়ার অভাবে জুতা থেকে শুরু করে ব্যাগ বেল্ট  ইত্যাদি চামড়া জাত পণ্যর  উৎপাদন কমে যাবে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়বেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা সহ অনেক ক্রেতারা। এর ফলে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেনা চামড়া জাত পণ্য থেকে কেননা তারা বাইরের দেশে চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন না এর ফলে আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে হুমকির মুখে পড়তে পারি।   চামড়া জাত পণ্যের মার্কেট আমাদের কাছে মনে হতে পারে অনেক অল্প কিন্তু এমার্কেটের বিস্তৃতি অনেক। এর থেকে আমরা প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা  অর্জন করতে পারি, তবে এবার অনেকের মতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা অনেক কম হবে কেননা অনেক চামড়া ইতিমধ্যেই পচে গেছে।

Scroll to Top