Responsive Menu
Add more content here...

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে – কোন দেশ কার পক্ষে আছে।

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে – কোন দেশ কার পক্ষে আছে

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে – কোন দেশ কার পক্ষে আছে হামাস(ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন) ৭ই অক্টোবর (শনিবার) ইসরায়েলের ভেতরে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা করা শুরু করেছে। এতে দুটি ভূখণ্ডে গত কয়েক দশকের চলমান উত্তেজনা পুনরায় রূপ নিয়েছে মরণযুদ্ধে। যা বিশ্বকে দুটি শিবিরে ভাগ করেছে।

jk

এমতাবস্থায় বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। কেউ সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে, আবার কেউ ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। আবার কারও বক্তব্যে ফুটে উঠেছে ‘নিরপেক্ষ অবস্থানের’ কথা।

বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধানের কাছ থেকে যেসব বক্তব্য-বিবৃতি এসেছে সেগুলোর ভিত্তিতে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে

ফিলিস্তিন এর পক্ষে যে সকল দেশ পাশে দাঁড়িয়েছে:

ইরান

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইরানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তবে ইরান এই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ।

৭ই অক্টোবর হামলার পর ইরানের টেলিভিশনে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি বলেছেন, “এই বিপর্যয়ের জন্য ইহুদিবাদী শাসকদের নিজস্ব কর্মকাণ্ডই দায়ী।”

চীন

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চীন নিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। তবে দেশটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে।

সৌদি আরব

সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান(ক্রাউন প্রিন্স) প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে ফোনের মাধ্যমে আলাপে যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, “তার দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সবসময় তাদের পাশে থাকবে।,”

See also  ২০২৪ সালেরও এইচএসসিও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

রাশিয়া

চীনের মতোই প্রায় একই অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়েছে, সেইসাথে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও ব্যক্ত করেছে।

তুরস্ক

গাজায়, ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটি গণহত্যা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “হামাস ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে সেটির জবাবে ইসরায়েল মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে গাজায়।”

উত্তর কোরিয়া

ফিলিস্তিনের গাজায় রক্তপাতের জন্য এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে বিরোধ ঘনীভূত করার পেছনে ইসরায়েল দায়ী বলে ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার দাবি, ইসরায়েলের একের পর এক অপরাধমূলক পদক্ষেপের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে গাজায় ইসরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা প্রকট করেছেন।

তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের উপর যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইহুদীবাদীরা, তা বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে বলবো, এখনই উদ্যোগ নিন।”

ইসরাইলের পক্ষে যে সকল দেশ পাশে আছে:

যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি তাদের দৃঢ় ও অটুট সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

৭ই অক্টোবর হামলার পরপরই মি. বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে ইসরায়েলের প্রতি তাদের এই প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

যুক্তরাজ্য

ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

৮ ই অক্টোবর মি. সুনাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে বলেছেন, ব্রিটেন “দ্ব্যর্থহীনভাবে” ইসরায়েলের পাশে আছে এবং বিশ্ব যেন এক সুরে কথা বলে সেজন্য কাজ করছে লন্ডন।

ভারত

ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

হামলার দিন, শনিবার, নরেন্দ্র মোদী তার পূর্ব অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন, “ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার সংবাদে আমরা অত্যন্ত দু:খিত। এই কঠিন সময়ে আমরা ইসরায়েলের পাশে আছি।”

অন্যান্য


হামাসের হামলার দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানির নেতাকর্মীরা।

See also  বাংলাদেশ মেট্রোরেল সম্পর্কিত সবকিছু

মূলত ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোল্জ, ইতালিয়ার প্রধানমন্ত্রী জির্জিয়া মেলোনি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, এবং মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান জো বাইডেনের মধ্যে ফোনে কথোপকথনের পর এই দেশগুলির সম্মিলিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, ‘হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কোনও যৌক্তিকতা নেই, কোনও বৈধতা নেই এবং এই হামলা প্রতি সর্বজনীনভাবে নিন্দা করা উচিত।’

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে তোলার জন্য এবং চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য এককভাবে ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে কাতার এবং কুয়েত। সহিংসতার মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে মিশর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আরওঃ

৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি

একাকিত্ব নিয়ে ফেসবুক ক্যাপশন কবিতা উক্তি এবং স্ট্যাটাস

মালয়েশিয়ায় সেরা কয়েকটি শ্রমিক ভিসা এর সুযোগ সুবিধা এবং বেতন

সুইডেনে কাজের ভিসা ও বেতন ২০২৩

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন। আবেদন ফি কত?

পারিবারিক সমস্যার জন্য ছুটির আবেদন

Scroll to Top