নন্দন পার্ক (পার্কটির প্রবেশ টিকিটের মূল্য, বিভিন্ন রাইড, গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা, পার্কটির খোলা ও বন্ধের সময়সূচি, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন )
আসসালামু আলাইকুম দর্শক। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে নন্দন পার্ক
এবং পার্কের প্রবেশ টিকিটের মূল্য, পার্কিং ব্যবস্থা, বিভিন্ন রাইড, পার্কেটির খোলা এবং বন্ধের সময়সূচী এবং কিভাবে যাবেন
এ সম্পর্কে সবিস্তার বিবরণী। আশা করা যায় এ বিষয়ে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।

বিস্তারিত
নন্দন পার্ক বাংলাদেশের সাভারে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় বিনোদন ও ওয়াটার পার্ক। এটি দেশের বৃহত্তম বিনোদন পার্কগুলির মধ্যে
একটি এবং সমস্ত বয়সের দর্শকদের জন্য আকর্ষণ বিনোদন অফার করে৷ নন্দন পার্ক স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের জন্যই একটি
পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যা পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং রোমাঞ্চ-সন্ধানীদের জন্য মজাদার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
পার্কটি একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত, প্রতিটিতে একটি অনন্য আকর্ষণ রয়েছে। নন্দন পার্কের
অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর রোমাঞ্চকর রাইডের সংগ্রহ। অ্যাড্রেনালাইন-পাম্পিং রোলার কোস্টার থেকে শুরু করে স্পিনিং
চায়ের কাপ এবং দোলানো জলদস্যু জাহাজ পর্যন্ত, দুঃসাহসিক কাজের জন্য প্রত্যেকের স্বাদ পূরণ করার মতো কিছু রয়েছে।
এই রাইডগুলি একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং রোমাঞ্চ-সন্ধানীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ।
যারা হাই-অকটেন রাইড থেকে বিরতি চান তাদের জন্য, নন্দন পার্কে বিভিন্ন বিনোদনমূলক এবং আকর্ষক কার্যকলাপও রয়েছে।
Read More: বৃষ্টি নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও কবিতা
পার্কটির এলাকা
পার্কটিতে একটি প্রশস্ত পিকনিক এলাকা রয়েছে, যা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে একটি অবসর সময়ে
উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত। দর্শনার্থীরা তাদের নিজস্ব খাবার নিয়ে আসতে পারে এবং নির্মল পরিবেশের মধ্যে পিকনিক করতে পারে।
বিনোদনমূলক রাইড ছাড়াও, নন্দন পার্ক একটি চমত্কার ওয়াটার পার্ক বিভাগ সরবরাহ করে। এটি বড় পুল, ওয়েভ পুল এবং রোমাঞ্চকর
জলের স্লাইড সহ বিভিন্ন জল-ভিত্তিক আকর্ষণের গর্ব করে। ওয়াটার পার্কটি তাপ থেকে একটি সতেজ পালানোর ব্যবস্থা করে, যা দর্শকদের
গরম গ্রীষ্মের মাসগুলিতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে এবং শীতল হতে দেয়।
নন্দন থিম (Nandan Park) পার্কের আনুষ্ঠাণিক উদ্বোধন করা হয় ২০০৩ সালে। পার্কটির বিশেষত্ব হচ্ছে চারিদিকের সবুজের সমারোহ। পার্কের
নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য পার্কের তুলনায় অনেক উন্নত। পার্কটিতে বিশেষ দিবস যেমন: পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস,মাতৃভাষা
দিবস ইত্যাদি দিনগুলোতে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের বহুল জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র তথা পার্কের কথা তুললে নন্দন পার্কের নাম উঠে আসে। নন্দন পার্কটি বাংলাদেশের রাজধানী
ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলায় অবস্থিত। নন্দন পার্ক বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনোদনমূলক পার্ক। আশুলিয়া থানার নবীনগরে চন্দ্রা
মহাসড়কের পাশে বাড়ইপাড়া এলাকায় এই পার্কটি অবস্থিত। নন্দন পার্কটির আয়তন ১৩৫ বিঘা । এই পার্কটি যুক্তরাজ্য থেকে প্রযুক্তি
ও ডিজাইন নিয়ে ভারতের নিকো পার্কের সহায়তায় নির্মাণ করা হয়েছে।
পার্কের প্রবেশ টিকিটের মূল্য
**পার্কটিতে প্রবেশের মূল্য ৯০ টাকা
**প্রবেশ সহ দুটি রাইড কমপ্লিমেন্টারি ২৯৫ টাকা।
**প্রবেশসহ ওয়াটার ওয়ার্ল্ড এর সকল রাইড ৫৫০ টাকা।
**সুপার সেভার প্যাকেজ টিকেট ৬৫০ টাকা।
**ওয়াটার ওয়ার্ল্ড রাইড টিকিট ৪২৫ টাকা।
**পার্কের ভেতর থেকে,প্রবেশের পরে দশ ড্রাই রাইডস প্যাকেজ ২৩০ টাকা।
**পার্কের সমস্ত রাইড ৭৫০ টাকা
**লাঞ্চ সহ পুরো পার্ক প্যাকেজ ৯৫০ টাকা
**চারজন সদস্যের জন্য পারিবারিক প্যাকেজ ৩৫৮০ টাকা
বিভিন্ন রাইড
নন্দন পার্কটি বিভিন্ন বিদেশি রাইডে সুসজ্জিত। রাইডগুলোর কথা বললে উল্লেখ করা যেতে পারে
ওয়াটার কোস্টার, কাটার পিলার, আইসল্যান্ড, ওয়েব পুল,রক ক্লাইম্বিং, মুন ব্রেকার, রিপলিং, প্যাডেল বোট, জিপ স্লাইড, কেবল কার, বাম্পার কার, সোফোট বল ক্যানন ইত্যাদি
এছাড়াও ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে রয়েছে আটটি রাইড। থিম কিডস এবং ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে মোট ২৭ টি রাইড রয়েছে। এই ওয়াটার ওয়ার্ল্ড চালু হয়েছিল ২০০৪ সালে।
গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা
নন্দন পার্কের সামনে প্রায় ১৫০০ গাড়ি পার্কের ব্যবস্থা রয়েছে। নন্দন পার্কটিতে রয়েছে গাড়ির সুবিশাল পার্কিং ব্যবস্থা। পার্কিং করার ক্ষেত্রে:
1. মোটরসাইকেল ৫০ টাকা
2. প্রাইভেট কার ১০০ টাকা
3. মিনিবাস ১৫০ টাকা
4. বাস ২০০ টাকা
পার্কটির খোলা এবং বন্ধের সময়সূচী
পার্কটি প্রতি শুক্রবার বাদে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এবং প্রতি শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার মতিঝিল থেকে এখানে বাসযোগে আসা যায়। এতে প্রায় সময় লাগে দুই ঘণ্টার মতো।
হানিফ, সুপার ও আজমেরী বাস সার্ভিস যোগে নন্দনে যাওয়া যায়। আবাবিল পরিবহন মতিঝিল থেকে ছেড়ে
গুলিস্তান, মগ বাজার, মহাখালি, বনানি, উত্তরা, আশুলিয়া ইপিজেড হয়ে যায়।এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও নন্দন পার্কে ভ্রমণ করা যেতে পারে।
কোথায় থাকবেন
নন্দন পার্কে ঘুরতে যাওয়ার পর অনেকের মাথায় এই প্রশ্ন আসে যে কোথায় থাকবো। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। যেখানে খুব সাতসন্দে থাকা যায়।
পরিশেষে
আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম নন্দন পার্ক সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা জানতে পারলাম নন্দন পার্কের প্রবেশের টিকিটের মূল্য, পার্কের বিভিন্ন রাইড, পার্কের খোলা এবং বন্ধের সময়সূচি, পার্কিং ব্যবস্থা, এবং কিভাবে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে।আশা করা যায় আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অনেক তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরেছি। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। এবং অন্য আরেকজনকে শেয়ার করার মাধ্যমে এ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।